টাইপ অফ মেমোরি/মেমোরির ধরন
Published: 2021-04-06 11:30:00

তথ্য সংরক্ষণের জন্য ব্যবহৃত মাধ্যমকে মেমোরি বলা হয়। প্রক্রিয়াকরণের সুবিধার জন্য মেমোরিতে উপাত্ত ও তথ্য জমা রাখা যায় এবং প্রয়োজনে সহজে কাজে লাগানো যায়।
কম্পিউটারের স্মৃতি প্রধানত তিন প্রকার; যথা-
- মেইন মেমোরি বা প্রাইমারি মেমোরি বা মুখ্য স্মৃতি
- সেকেন্ডারি মেমোরি বা গৌণ স্মৃতি
- বাল্ক স্টোরেজ
মুখ্যস্মৃতি বা প্রাইমারি মেমোরি :
ALU এর সাথে প্রত্যক্ষ সংযোগ থাকে থাকে প্রাইমারি মেমোরি বলে। অত্যন্ত দ্রুত গণনা করতে সক্ষম ALU এর সঙ্গে প্রত্যক্ষ সংযোগ থাকায় মুখ্য স্মৃতিকে অত্যন্ত দ্রুত গতি সম্পন্ন হতে হয়। যেসব তথ্য ও নির্দেশ সর্বদা প্রয়োজন তাদের স্মৃতিতে রাখা হয়। এছাড়া ALU যখনই যা নিয়ে কাজ করে তার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য ও নির্দেশ সেকেন্ডারি মেমোরি থেকে এনে সাময়িকভাবে প্রাইমারি মেমোরি তে রাখা হয়। কাজ শেষ হওয়ার পর পুনরায় তাদের সেকেন্ডারি মেমোরি তে সরিয়ে দেওয়া হয়। প্রাইমারি মেমোরি তিন ধরনের, যথা-
- ইন্টার্নাল মেমোরি
- এক্সটার্নাল মেমোরি
- রিড রাইট (R.W) মেমোরি
ইন্টার্নাল মেমোরি মাইক্রোপ্রসেসর এর মধ্যে থাকে। ALU প্রথমে এর সাথে যোগাযোগ করে। মেইন এক্সটার্নাল মেমোরি দুই প্রকার, যথা- RAM ও ROM। এটি মাইক্রোপ্রসেসর এর বাহিরে মাদারবোর্ড এর উপর বসানো থাকে। কোন তথ্য ALU তে আসার আগে RAM এ আসে। অতঃপর RAM অথবা ROM হতে ইন্টার্নাল মেমোরি তে আসে। ALU এর অপারেশন শেষে ইন্টার্নাল মেমোরি RAM বা বাহিরের কোন ডিভাইসে যায়। রিড রাইট মেমরিতে ডাটা RAM এর মত পড়া এবং লিখা উভয়ই সম্ভব। তবে এটি একটি অস্থায়ী মেমোরি।
সেকেন্ডারি মেমোরি বা গৌণ স্মৃতি :
কম্পিউটারের ডাটা রাখার জন্য সেকেন্ডারি মেমোরি মূলত ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এটি এক্সটার্নাল মেমোরি হিসেবে পরিচিত। সেকেন্ডারি মেমোরিতে প্রক্রিয়াকরণের ফলাফল এবং প্রয়োজনীয় প্রোগ্রাম সংরক্ষণ করা হয়। এর ডাটা সহজে পরিবর্তন করা যায়। এটির ধারণক্ষমতা প্রাইমারি মেমোরি তুলনায় অনেক বেশি। এখানে ডাটা ও নির্দেশ শুধু সংরক্ষণ করা যায়। প্রসেসিংয়ের কোন কাজ এখানে সংগঠিত হয় না। প্রাইমারি মেমোরির তুলনায় এটি ধীরগতিসম্পন্ন। কম্পিউটারে প্রসেসিং এর কাজ প্রাইমারি মেমোরি তে হয় এবং সঞ্চয় এর কাজ বা ডাটা স্টোর এর কাজ সেকেন্ডারি মেমোরিতে হয়। ম্যাগনেটিক টেপ, ফ্লপি ডিস্ক, হার্ডডিস্ক, ম্যাগনেটিক ড্রাম ইত্যাদি সেকেন্ডারি মেমোরির অন্তর্ভুক্ত। সেকেন্ডারি মেমোরি তে সেসব তথ্য ও নির্দেশে থাকে যা বর্তমান মুহূর্তে গণনার জন্য প্রয়োজন না হলেও পরবর্তীতে এর প্রয়োজন হয়। ALU এর সঙ্গে সংযোগ না থাকায় এর গতি কিছুটা কম। তবে গতি কম হলেও এর ডাটা ধারণ ক্ষমতা অনেক বেশি। সেকেন্ডারি মেমোরির ডাটা সঞ্চয় ক্ষমতা প্রাইমারি মেমোরি চেয়ে অনেক বেশি হতে হয়। কারণ এর মধ্যে নিকট ভবিষ্যতে গণনার প্রয়োজন এমন সব তথ্যনির্দেশ থাকে। প্রাইমারি মেমোরির চেয়ে এর গতি কম বলে বিট পিছু খরচও কম। এটির এক্সেস সময় মিলিসেকেন্ড।
বাল্ক স্টোরেজ স্টোরেজঃ
ব্যবসা সংক্রান্ত বিভিন্ন কাজ মহাকাশযাত্রা ইত্যাদি ক্ষেত্রে গণনায় প্রচুর তথ্য লাগে। বাল্ক স্টোরেজে এই সব তথ্য জমা থাকে। এজন্য এর ডাটা ধারণ ক্ষমতা অত্যন্ত বেশি। সেখান থেকে আবার বিপরীতভাবে প্রাইমারি মেমোরি থেকে সেকেন্ডারি মেমোরি হয়ে বাল্ক স্টোরেজে ফিরে আসে। আর নতুন কাজের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য ও নির্দেশ বাল্ক স্টোরেজ থেকে সেকেন্ডারি মেমোরি হয়ে প্রাইমারি মেমোরিতে যায়।
মেমোরির শ্রেণীবিভাগ :
বিদ্যুৎ প্রবাহের সাথে ডাটার স্থায়িত্বের উপর নির্ভর করে স্টোরেজ ডিভাইসকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে -
- ভলাটাইল
- নন-ভলাটাইল
ভলাটাইল :
বিদ্যুৎ প্রবাহ বন্ধ হওয়ার সাথে সাথে যে সমস্ত স্টোরেজ ডিভাইস এর ডাটা মুছে যায় সে সমস্ত স্টোরেজ ডিভাইস কে ভোলাটাইল বলে।
নন-ভলাটাইল :
বিদ্যুৎ প্রবাহ বন্ধ হওয়ার সাথে সাথে যে সমস্ত স্টোরেজ ডিভাইসের ডাটা মুছে যাওয়ার কোন সম্পর্ক থাকে না বরং আবার বিদ্যুৎ প্রবাহ শুরু হওয়ার পরপরই সমস্ত ডাটাই যে স্টরেজ ডিভাইসে আছে তা দেখা যায় তাকে non-volatile বলে।
মাইক্রো কম্পিউটার সিস্টেমে স্টোরেজ ডিভাইসকে লজিক্যালি তিন ভাগে ভাগ করা যায় -
- প্রসেসর স্টোরেজ
- প্রাইমারি / মেইন স্টোরেজ
- সেকেন্ডারি স্টোরেজ
সেকেন্ডারি স্টোরেজ ডিভাইস কে আবার দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে-
- RAM বা Random Access Memory
- ROM বা Read Only Memory
RAM কে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে -
- SRAM বা Static Random Access Memory
- DRAM বা Dynamic Random Access Memory
- Pseudostatic RAM
ROM কে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে -
- Erasable ROM
- Permanent ROM
Erasable ROM কে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে -
- EP ROM বা Erasable Programmable ROM
- EE PROM বা Electrically Erasable PROM
- Flash ROM বা Flash memory
Permanent ROM দুই প্রকার -
- Masked ROM
- PROM বা Programmable ROM